আব্দুল্লাহ আল তোফায়েল: আবু ছালেহ মুহাম্মদ আব্দুল হাই ১৯৯০ সালে এলাকার কিছু যুবকদের নিয়ে গড়ে তুলেন, অগ্রগামী যুব সংঘ নামে একটি সংগঠন। যদিও এটা অল্প দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।তবে পরবর্তীতে এ ব্যার্থতা তাকে জীবন পথে ছুটে চলতে সাহসী ও উদ্যমী করে।

একদিন তিনি উপলব্ধি করলেন, এলাকার ছেলে মেয়েদের বই পড়ার প্রতি কিছুটা আগ্রহ থাকলেও,বই পড়ার সুযোগ নেই।ফলে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর সাথে যোগাযোগ করে নরসিংপুর গ্রামের মসজিদে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯০ এর দিকে জাতীয় তরুন সংঘের সুনামগঞ্জ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পান।

এর পর আবার যুবকদের নিয়ে “ নরসিংপুর সমাজ কল্যান সংস্তা (নসকস) প্রতিষ্ঠা করি। ১৯৯৫ ইংরেজিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে পোয়োজন মত ভুমি ওয়াকাফ্ করে নরসিংপুর ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। যা পরবর্তীত ইহাকে দাখিল মাদ্রাসায় রুপান্তরিত হয়। ১৯৯৭/৯৮ সালে নরসিংপুর গ্রামের মসজিদের নির্মাণ কাজে তিনি সহযোগিতা করেন। ১৯৯৮ সালে সরকারী নীতি অনুযায়ী নরসিংপুর পোষ্ঠ অফিস কে স্তায়ী ও সরকারী করার লক্ষ্যে তিনিসহ তার ৫ভাই .১১ শতাংশ জায়গা দান করেন। ২০০৩ সালে নরসিংপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৯ সালে এসে নরসিংপুর আদর্শ হাফিজিয়া ও দাখিল মাদ্রাসার গরীব ছাত্র/ছাত্রীদের সহায়তার জন্য একটি গরীব ফান্ড প্রতিষ্টা করেন। যেখান থেকে এলাকার গরীব ও অসহায় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় সহযোগিতা করা হয়। ২০১০ সালে তিনি নরসিংপুর মাদ্রাসা ওয়েল ফেয়ার টাস্ট ইউ কে প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৭ইং সনে “মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল হাই ফান্ডেশন” প্রতিষ্ঠা করি করেন। একই বছর তার বাবার নামে আলতাব আলী বৃত্তি পরীক্ষা চালু করেন।

একটা সময় উপলব্ধি করলেন শিক্ষার যথেষ্ট প্রসার হলেও এলাকার স্বাস্থ্য খাতের বেহাল অবস্থা। যা পরিবর্তন প্রয়োজন। এই চিন্তা থেকে ২০১৮ সালে তিনি মায়ের নামে হাজ্জাহ কমরুন্নেছা আলতাব মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে গরীবদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে আব্দুল হাই বলেন,মানুষের জন্য কাজ করতে একটা প্রশান্তি পাই।তাছাড়া এলাকার সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে না পারলে কোন পরিবর্তন সম্ভব নয়।